ক্যাপ্টেন এস এম আতিকুর রহমান, (জি), এনইউপি, পিএসসি, বিএন ২২ নভেম্বর, ১৯৭৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অফিসার ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ০১ জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে নির্বাহী শাখায় কমিশন লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি এবং বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি সমুদ্র পথে যুদ্ধের জন্য ভারী সমরাস্ত্র পরিচালনার উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিসিএসসিএস), ঢাকার একজন সম্মানিত অ্যালামনাই। ক্যাপ্টেন আতিকুর রহমান আইএসএসবি হতে ডেপুটি প্রেসিডেন্ট কোর্স, চীনে মিসাইল কমান্ড এন্ড ট্যাকটিস কোর্স, ভারতে গানারী স্পেসালাইজেসন কোর্স সহ দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ডের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। ৩০ বছরের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে ক্যাপ্টেন আতিকুর রহমান তার অসাধারণ সামরিক দক্ষতা এবং নেতৃত্ব প্রদর্শন করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাতটি জাহাজ এবং ঘাঁটির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তার আত্মত্যাগ, পেশাদারিত্ব এবং সততার জন্য সহকর্মী ও অধীনস্তদের কাছে সম্মানিত হয়েছেন। ক্যাপ্টেন আতিকুর রহমান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাহিরেও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বেইস অগ্রযাত্রার কমান্ড্যান্ট এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের স্টাফ অফিসারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতিসংঘের একজন গর্বিত সদস্য হিসাবে "নীল পতাকার" প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার কারণে তিনি ‘নৌ উৎকর্ষ পদক’ (এনইউপি) পদক প্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল এর কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পরিবার এবং চাকুরীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে পারিবারিক আনন্দ এবং পেশাগত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। এক পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তান নিয়ে তিনি সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছেন। তিন ভ্রমণ করা, বাগান করা এবং বই পড়তে পছন্দ করেন। সেই সাথে তিনি গান শুনতে পছন্দ করেন এবং গল্ফ খেলতে পছন্দ করেন।